৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ফজর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন তুরাগ নদীর তীরসহ টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাবলীগ জামাতের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের তিন চিল্লার পুরাতন সাথীদের ‘পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা’।

প্রতিবছরেই ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় হয়ে থাকে। এখানে তাবলীগের সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারী ও বড়দের রাহবারী নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান। যার জন্য উনারা পুরো বছর অপেক্ষায় থাকেন। এই জোড়কে কেন্দ্র করে দেশ ও দেশের বাহিরের শুরায়ী নেজামের মুরুব্বিগণ একত্রিত হয়েছেন।

এই জোড়ে কেবল ৩ চিল্লার সাথী ও কমপক্ষে ১ চিল্লা সময় লাগানো আলেম ছাড়া অন্য কেউ থাকতে পারবে না।
এই জোড় থেকে আগামী এক বছর কাজের ব্যাপারে সঠিক রাহবারী পাওয়া যায়। পুরো বছরের কাজের আজাইম বা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সর্বোপরি বড়দের পক্ষ থেকে এই দাওয়াতের কাজের আহমিয়ত, কুরআন ও হাদীস থেকে দাঈদের ঈমান আমল ও দাওয়াতের উসুল, তরতিব, দেশের প্রেক্ষাপটে কাজের করণীয় ঠিক করা, দাঈদের ইসলাহ, তরবিয়তের বিশেষ বয়ান হয়ে থাকে।

শুরায়ী নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, প্রতি বছর হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুরানো হযরতরা আসেন। এখানে প্রবীণ আহলে ইলম ও হযরতজী মাওলানা ইউসুফ (রহঃ) শেষ হযরতজী মাওলানা এনামুল হাসান (রহঃ) এর সোহবতপ্রাপ্ত মুরুব্বিগণ বয়ান করেন।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।