আজ রবিবার, ১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী। পুর্নাঙ্গ তালিকা PDF ডাউনলোড করুন।

admin
প্রকাশিত মে ২২, ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ণ
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী। পুর্নাঙ্গ তালিকা PDF ডাউনলোড করুন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের পতনের পর দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কতিপয় কুচক্রী মহল বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও থানায় হামলা চালায়, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং চুরি, ডাকাতি, মব জাস্টিসসহ নানাবিধ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।

এই সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, যার মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও ছিলেন, আশ্রয়ের জন্য উপস্থিত হন। সেনানিবাসে উপস্থিত ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাইয়ের চেয়ে তাদের জীবন রক্ষা করা ছিল সেনাবাহিনীর জন্য প্রধান বিবেচ্য বিষয়।

উক্ত সময়ে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও ১২ জন অন্যান্য পেশাজীবী এবং ৫১ জন পরিবার-পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) মোট ৬২৬ জনকে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দেওয়া হয়। আশ্রয়প্রাপ্তদের অধিকাংশই পরিস্থিতির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন। এদের মধ্যে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং একই দিনে ১৯৩ জন ব্যক্তির একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। বিষয়টি সে সময়েই মীমাংসিত ছিল।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই আশ্রয়দান ছিল সম্পূর্ণ মানবিক দায়বদ্ধতার ফলাফল, যার উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষা করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এই ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।

সেনাবাহিনী সকলকে এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সাথে জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির তালিকাসহ পূর্ণ PDF দেখতে ক্লিক করুন

Sharing is caring!