আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিবন্ধীদের সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে: রাষ্ট্রপতি

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ণ
প্রতিবন্ধীদের সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘প্রতিবন্ধীদের সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে এবং তাদের মানসিক বিকাশে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’

মঙ্গলবার ‘৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস’ ও ‘২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস- ২০২৪ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কর্মরত সংস্থা ও সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রকৃতিগতভাবে বিশেষ গুণসম্পন্ন প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজের এই বিশেষ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। সঠিক পরিচর্যা ও প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে তারাও দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। প্রেক্ষিতে দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় ২০০৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার সনদ (ইউএনসিআরপিডি) অনুসমর্থন করে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সকল আইন ও বিধি-বিধানের পাশাপাশি যুব সমাজের স্বপ্নকে ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে অন্তর্র্বর্তী সরকার বহুমুখী সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনাগুলোর সফল বাস্তবায়ন প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’

তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়ন ও একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, দেশি-বিদেশি সংস্থা ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং প্রতিবন্ধী দিবসের সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

Sharing is caring!